দেশে মোবাইল ফোন অপারেটদের সেবার মান নিয়ে গ্রাহকের অভিযোগের শেষ নেই। অনেকেই বলেন, আগের তুলনায় নেটওয়ার্ক ভাল হয়নি। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কমাও কি একটি কারণ? অন্যদিকে তাদের আয় কিন্তু বাড়ছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, আগের বছরের তুলনায় শেষ হওয়া ওই অর্থ বছরে বিনিয়োগ প্রায় ১৫ শতাংশ কমে হয়েছে মাত্র চার হাজার ৬২৬ কোটি। অথচ ২০১৫-২০১৬ সালে এই বিনিয়োগ ছিল পাঁচ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা।
আয়ের চিত্র আবার বলছে ভিন্ন কথা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মোট আয় চার শতাংশ বেড়ে ২৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা হয়েছে।
অপারেটরগুলোই যার যার আয় এবং বিনিয়োগের যে তথ্য বিটিআরসিকে দিয়েছে সেটিই বিটিআরসির বার্ষিক প্রতিবেদনে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখানে বিটিআরসির নিজস্ব যাচাই-বাছাইয়ের কোনো সুযোগ নেই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপারেটররা এখন বিনিয়োগে কম মনযোগী। আর সে কারণে নেটওয়ার্কের অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে।
বিষয়টি বিটিআরসির সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তারা কতো আয় করলো সেটা কমিশনের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং তাদের নেটওয়ার্কের কি অবস্থা সেটা নিয়ে বিটিআরসি কাজ করছে।
‘কেউ বেশী আয় করলেও তো আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু আমরা খেয়াল করবো তাদের নেটওয়ার্ক। গ্রাহক সেবার ওপরে আমরা একটি নির্দেশনা তৈরির কাজ করছি। এটা নিয়েই পরে অপারেটরদের পারফরম্যান্স পরীক্ষা করা হবে এবং সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’- বলছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
গ্রামীণফোন আর বাংলালিংকের ক্ষেত্রে আয় বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ কমার ক্ষেত্রে অভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। গ্রামীণফোন গত বছর বিনিয়োগ করেছে মাত্র এক হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। যেটা তার আগের বছরের ছিল দুই হাজার ২৭৭ কোটি। আবার আয়ের ক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ছিল ১২ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। আগের বছরে যেটা ছিল ১০ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা।
বাংলালিংকের আয় আগের বছর চার হাজার ৮১৭ কোটি টাকা হয়েছে তারও আগের বছরের চার হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা থেকে। সেখানে তাদের বিনিয়োগ এক হাজার ১০৬ কোটি থেকে ৯০২ কোটি টাকায় পড়ে গেছে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে।
একীভূত হওয়া রবি-এয়ারটেলের অবস্থা একটু ভিন্ন। অপারেটরটি শেষ অর্থ বছরে এক হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এই দুই ব্র্যান্ড মিলে ২০১৫-১৬ সালে বিনিয়োগ করেছিল এক হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা।
তবে তাদের ২০১৬-১৭ সালের বিনিয়োগের একটা বড় অংশ চলে গেছে দুই অপারেটরের একীভূতকরণের ফি হিসেবে। সেক্ষেত্রে নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ হয়েছে খুব কম অংশই।
তাদের আয় ছিল সর্বশেষ বছরে ৬ হাজার ৬৮ কোটি যা আগের বছর ছিল ৬ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা।
তবে সরকারি কোম্পানি টেলিটকের আয় কমলেও বিনিয়োগ বেড়েছে। বিনিয়োগ ৩৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২১৮ কোটিতে এসেছে। কিন্তু আয় ৯৮৭ কোটি টাকা থেকে নেমে চলে গেছে ৭১১ কোটি টাকায়।
সবগুলো অপারেটর মিলে ২০১২-১৩ সালে বিনিয়োগ করেছিল ১১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। পরের বছরে সেটা নেমে আসে ৯ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকায়। আর ২০১৪-১৫ সালে সেটা দাঁড়ায় ৫ হাজার ৬৬৭ কোটিতে।
উল্টো দিকে অপারেটরগুলোর মোট আয় চার বছর আগেও ছিল ২০ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। যা এখন আরও তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি বেড়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, আগের বছরের তুলনায় শেষ হওয়া ওই অর্থ বছরে বিনিয়োগ প্রায় ১৫ শতাংশ কমে হয়েছে মাত্র চার হাজার ৬২৬ কোটি। অথচ ২০১৫-২০১৬ সালে এই বিনিয়োগ ছিল পাঁচ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা।
আয়ের চিত্র আবার বলছে ভিন্ন কথা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মোট আয় চার শতাংশ বেড়ে ২৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা হয়েছে।
অপারেটরগুলোই যার যার আয় এবং বিনিয়োগের যে তথ্য বিটিআরসিকে দিয়েছে সেটিই বিটিআরসির বার্ষিক প্রতিবেদনে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখানে বিটিআরসির নিজস্ব যাচাই-বাছাইয়ের কোনো সুযোগ নেই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপারেটররা এখন বিনিয়োগে কম মনযোগী। আর সে কারণে নেটওয়ার্কের অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে।
বিষয়টি বিটিআরসির সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তারা কতো আয় করলো সেটা কমিশনের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং তাদের নেটওয়ার্কের কি অবস্থা সেটা নিয়ে বিটিআরসি কাজ করছে।
‘কেউ বেশী আয় করলেও তো আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু আমরা খেয়াল করবো তাদের নেটওয়ার্ক। গ্রাহক সেবার ওপরে আমরা একটি নির্দেশনা তৈরির কাজ করছি। এটা নিয়েই পরে অপারেটরদের পারফরম্যান্স পরীক্ষা করা হবে এবং সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’- বলছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
গ্রামীণফোন আর বাংলালিংকের ক্ষেত্রে আয় বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ কমার ক্ষেত্রে অভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। গ্রামীণফোন গত বছর বিনিয়োগ করেছে মাত্র এক হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। যেটা তার আগের বছরের ছিল দুই হাজার ২৭৭ কোটি। আবার আয়ের ক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ছিল ১২ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। আগের বছরে যেটা ছিল ১০ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা।
বাংলালিংকের আয় আগের বছর চার হাজার ৮১৭ কোটি টাকা হয়েছে তারও আগের বছরের চার হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা থেকে। সেখানে তাদের বিনিয়োগ এক হাজার ১০৬ কোটি থেকে ৯০২ কোটি টাকায় পড়ে গেছে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে।
একীভূত হওয়া রবি-এয়ারটেলের অবস্থা একটু ভিন্ন। অপারেটরটি শেষ অর্থ বছরে এক হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এই দুই ব্র্যান্ড মিলে ২০১৫-১৬ সালে বিনিয়োগ করেছিল এক হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা।
তবে তাদের ২০১৬-১৭ সালের বিনিয়োগের একটা বড় অংশ চলে গেছে দুই অপারেটরের একীভূতকরণের ফি হিসেবে। সেক্ষেত্রে নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ হয়েছে খুব কম অংশই।
তাদের আয় ছিল সর্বশেষ বছরে ৬ হাজার ৬৮ কোটি যা আগের বছর ছিল ৬ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা।
তবে সরকারি কোম্পানি টেলিটকের আয় কমলেও বিনিয়োগ বেড়েছে। বিনিয়োগ ৩৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২১৮ কোটিতে এসেছে। কিন্তু আয় ৯৮৭ কোটি টাকা থেকে নেমে চলে গেছে ৭১১ কোটি টাকায়।
সবগুলো অপারেটর মিলে ২০১২-১৩ সালে বিনিয়োগ করেছিল ১১ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। পরের বছরে সেটা নেমে আসে ৯ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকায়। আর ২০১৪-১৫ সালে সেটা দাঁড়ায় ৫ হাজার ৬৬৭ কোটিতে।
উল্টো দিকে অপারেটরগুলোর মোট আয় চার বছর আগেও ছিল ২০ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। যা এখন আরও তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি বেড়েছে।